আমার মতো পঞ্চাশোর্ধ অনেকেই হয়তো বাংলা অক্ষর জ্ঞান শেষে পড়েছেন- “অজগর ঐ আসছে তেড়ে, আমটি আমি খাব পেড়ে, ইঁদুর ছানা ভয়ে মরে, ঈগল পাখি পাছে ধরে।” এই সাধারণ ও সহজ সরল কথাগুলো সাজিয়ে ভারতের শিল্পী আর ডি বর্মণ ছোটদের জন্য বাংলায় একটা মিষ্টি গানও গেয়েছিলেন। সহজ সরল এই কথাগুলোর মধ্যে কোনো রাজনীতি বা গল্প থাকার কথা নয়। আবার অতি উৎসাহী সমাজতাত্ত্বিকরা এই কথামালায় যদি দুর্বল ইঁদুরের ওপর সবল অজগর বা হিংস্র ঈগলের অত্যাচারের তত্ত্ব খুঁজে পান তাহলেও দোষ দেওয়া যাবে না। জীবনের শুরুতেই অজগর আর ঈগলের ভয় ছড়িয়ে শিশুমনে হীনমন্যতার বীজ বপনের অভযোগও তুলতে পারেন কেউ কেউ। ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখলে অজগর আর ঈগল তথা বিপদ শঙ্কুল পৃথিবীর অস্তিত্ব শিশু মনে জানান দেওয়া দোষের কিছু নয়। এক কথায় বলতে গেলে সবই দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। আমাদের নির্বাচন, আমাদের সংবিধান, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি-সবই কি তেমন, যে যেমনটা ব্যাখ্যা করে স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে?