রাজতন্ত্রে রাজার বউ রানী। রাজা, বাদশাহ, নবাব, সুলতান বা আমিরের ছেলে যুবরাজ; কন্যা শাহজাদি। গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা কোনো ধরনের আলংকারিক পদবি পান না। যদিও কোনো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারপ্রধানের স্ত্রীকে ফার্স্ট লেডি বলার রেওয়াজ রয়েছে। আমাদের দেশেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে রওশন এরশাদকে ফার্স্ট লেডি বলা হতো। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কথা বাদই দিলাম; কোনো কোনো সংসদ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে আধিপত্য বিস্তারের নামে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অপপ্রয়াস চালান। এর নিকটবর্তী উদাহরণ পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত ৭৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। তাঁর মেজো ভাই ১ নম্বর সহসভাপতি, সেজো ভাই ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছোট ভাই সাংগঠনিক সম্পাদক। আউয়াল ও তাঁর সেজো ভাইয়ের স্ত্রী উভয়ে নির্বাহী কমিটির সদস্য। সেজো ভাইয়ের বেয়াই সহসভাপতি এবং ভাগনে সদস্য। নিজ পরিবারের ছয়জন এবং নিকটাত্মীয় দু’জন নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি দেখে মনে হচ্ছে, আউয়াল সাহেব তাঁর জেলায় বাদশাহি শাসন কায়েম করতে চান!