আধুনিক জীবনযাত্রায় বাবা-মা দুজনেই ব্যস্ত থাকেন। অনেকে বাবা-মাই আছেন সন্তানকে ঠিক মতো সময় দিতে পারেন না। এ কারণে অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, সম্পর্ক ভালো হলেও মনের সব কথা বাবা-মাকে খোলাখুলি জানাতে ভয় পায় সন্তানরা। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা, ব্যক্তিগত জীবন, মতামত, সিদ্ধান্তহীনতা— সব কিছু নিয়েই দ্বিধায় ভোগে। অথচ কারও সঙ্গে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে কুণ্ঠাবোধ করে। মনের মধ্যে ভয়ও কাজ করে তাদের। সন্তানের মনের এই দ্বিধা কাটাতে সাহায্য করতে পারেন অভিভাবকরাই।
কী করবেন-
সন্তানের পাশে থাকুন : যে কোনও পরিস্থিতিতে সন্তানের পাশে থাকুন। সন্তান যাতে আপনার সান্নিধ্যে নিরাপদ বোধ করে, সেই আশ্বাস দেওয়ার দায়িত্ব আপনারই। বিশ্বাস করে সন্তান যেন সব কথা বলতে পারে, সেই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে অভিভাবককেই।
তাদের সঙ্গে সময় কাটান: সারা দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও বাড়ি ফিরে কিছুটা সময় সন্তানকে দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাদের কিছু কিছু কথা কম গুরুত্বপূর্ণ বা অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সারা দিন সে কী করল, স্কুল বা খেলার মাঠে কী হল , তা শুনুন। সন্তানকে পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারেন। এই সময়টুকু শুধু তাদের জন্যই রাখুন।
বেশি আগলে রাখবেন না: সন্তান ছোট ভেবে তাকে সব ক্ষেত্রে পরিচালনা করা ঠিক নয়। তা হলে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এই অভ্যাসের ফলে সন্তানের নিজস্ব মতামত গড়ে ওঠে না।
তাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিন: সন্তানকে ভাল-মন্দ বিচার করতে শেখান। নিজের পছন্দ-অপছন্দ জোর করে তার উপার চাপিয়ে দেবেন না। এই অভ্যাস থেকেও সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকদের দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে দিন: ছুটির দিন বাড়ি থাকলেই সন্তানের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। তাকে নিজের মতো থাকতে দিন। আপনার পরামর্শ মতো চলতে সন্তান যেন চাপ বোধ না করে সেটা খেয়াল রাখুন।