তুরস্ক, পাকিস্তানসহ পৃথিবীতে যতগুলো অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে, সেগুলোর মূল কারণ ছিল তাদের স্থানীয় মুদ্রার মূল্য হারানো। যেসব দেশকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মোকাবেলা করতে হয়েছে, সেগুলোর মূল কারণ হচ্ছে ডলারের বিপরীতে বা রিজার্ভ কারেন্সির বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মূল্য হারানো। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক দিন ছয়-সাড়ে ছয়ের মধ্যে ছিল এবং তখন ইউএস ডলারের মূল্য ছিল ৮৫-৮৬ টাকা। বহুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক এই এক্সচেঞ্জ রেটটা সফলতার সঙ্গে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
কিন্তু গত দুই বছর থেকে, যখনই আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট বাড়তে লাগল, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেল, দেনা বেড়ে যাচ্ছিল, ব্যালান্স অব পেমেন্ট ঋণাত্মক অবস্থানে চলে গেল, তখনই আমাদের মুদ্রা মূল্য হারানো শুরু করল।
এটার মূল কারণ হচ্ছে যে আমাদের ডলারের সরবরাহ যা আছে, তার তুলনায় পেমেন্ট অবলিগেশন বেশি। ডলারের সরবরাহ যে খুব বেশি কমছে তা নয়, কিন্তু বাংলাদেশের দেনা বেশি বেড়ে গেছে। আরেকটু সহজ করে বলি, বিদেশি মুদ্রায় দেনাটা বেড়ে গেছে।