ভিসার হুমকিতে প্রার্থীর ইন্তেকাল না করা নির্বাচন

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৩, ১৫:০৬

বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যাতে গণতান্ত্রিক হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ভিসার হুমকি ঘোষণার পর দেশে তিনটি মহানগরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমটি হয়েছে ভিসা নীতি ঘোষণার মাত্র এক দিন পর, যে সময়টুকু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির সবকিছু বুঝে ওঠার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিস্ময়করভাবে গলা মিলিয়ে ওই ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সরকারের সুর বদলাতে শুরু করেছে এবং কোনো ধরনের হুমকিকে পরোয়া না করার ঘোষণাও এসেছে। এরপর অনুষ্ঠিত হলো খুলনা ও বরিশালের সিটি নির্বাচন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনগুলো কেমন হলো, তার নানা রকম মূল্যায়ন পাওয়া যাচ্ছে, যা কিছুটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যতাড়িত।


নির্বাচন কমিশনের মূল্যায়নে ‘সার্বিক অর্থে সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাচন হয়েছে। কমিশন সন্তুষ্ট।’ তবে এই সুন্দর নির্বাচন ও সন্তুষ্টির একটা মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বরিশালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের হামলায় আহত হলেও ‘ইন্তেকাল’ না করায় তাঁর কাছে আর কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আহত হলে তিনি এমন দায়িত্বহীন ও নিন্দনীয় কথা বলতেন কি না, সন্দেহ আছে। অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুপস্থিতিতে এসব নির্বাচন যেমন হয়েছে, রাজনৈতিক ক্ষমতার আসল লড়াই হবে তার চেয়ে ঢের বেশি প্রতিযোগিতার। ফলে এতে সহিংসতার আশঙ্কা থাকে প্রবল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ঠিক করা মাপকাঠি অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কারও ইন্তেকাল না হওয়া পর্যন্ত সহিংসতা গ্রহণযোগ্য বলে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন যদি মনে করে, তাহলে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলো কেমন হবে, তার একটা ধারণা এখন পাওয়া যাচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us