প্রযুক্তির অনস্বীকার্য প্রভাবে চলচ্চিত্র শিল্পেও এসেছে পরিবর্তন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উত্থানে বৈশ্বিক পরিস্থিতির মতো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’-এর অগ্রগতির দ্বারা চালিত বিশ্ব অর্থনীতির চলমান রূপান্তরকে এক কথায় প্রকাশের বহুল ব্যবহৃত টার্মটি হচ্ছে—চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (কেউ কেউ ‘বিপ্লব’ বলেন )।
যান্ত্রিক শক্তি বনাম পেশিশক্তি। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আজকের নয়। মূলকথা, যন্ত্র সব কাজ কেড়ে নেবে। শ্রমজীবীদের বেকার করবে। মানুষের শ্রমকে বাহুল্যে পরিণত করবে।
আশঙ্কা কিংবা সম্ভাবনা যেটাই বলি না কেন এর ইতিহাস ও বিবর্তন সরলরৈখিক না। এর সঙ্গে জড়িত সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি আর ইতিহাসের জটিল সম্পর্ক। প্রযুক্তি যতই আধুনিক ও উন্নত হোক, সেটিকে সফল হতে হলে এসব সম্পর্কের সমীকরণ মেলাতে হয়। প্রাণী হিসেবে মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা চিন্তা ও কল্পনা করার সক্ষমতা, কায়িক শ্রম নয়। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে প্রযুক্তির সহায়তা পেয়ে আমাদের চিন্তা ও কল্পনার জায়গা অনেকটাই সরল ও সংকীর্ণ হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে , এ কারণে কী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহজেই আমাদের চিন্তা ও কল্পনার সীমা ধরে ফেলতে পারবে?