বরিশাল এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ হলো। এর মধ্যে বরিশালে এক প্রার্থী হামলায় আহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি আবার চরমোনাইয়ের পীরের ভাইও বটে। তাঁর রক্তাক্ত হওয়ার ছবি দেখা গেছে। বরিশালে এর আগেও এ ধরনের কিছু ঘটনা ঘটেছে। এবারের ঘটনায় দায়ী ও দোষীদের খুঁজে বের করে বিচার না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এটা করতে হবে। বরিশালের এই ঘটনা আরও বহুদূর যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে, সেখানে চরমোনাই পীরের অনুসারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। সেখানে তাদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে– এতে কোনো সন্দেহ নেই।
যে কোনো নির্বাচনে সাধারণত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। এখানে সিটি নির্বাচনে তো তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বলে দাবি করা যাবে না। বরিশালে আওয়ামী লীগের নৌকার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তো চরমোনাই পীরের হাতপাখা। আমার কাছে যেটা মনে হয়– এখনও হাতপাখা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো অবস্থায় যায়নি। দলটি তাদের সমর্থকের পরিধি বিস্তৃত করতে পারেনি। একটি নির্দিষ্ট ধরনের সমর্থক নিয়েই দলটি এখন পর্যন্ত চলমান। তাই ভোটের মাঠে কেবল ভোট ছাড়াও আরও যেসব প্রভাবক থাকে, তা তাদের নেই।