সিরাজুল আলম খান, আমাদের সিরাজ ভাই লোকান্তরিত হলেন। আমাদের অনেকেই আবার তাঁকে ‘দাদা ভাই’ বলে ডাকতেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ তৈরি হয় ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে। আমার মতো আরও অনেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁর মাধ্যমে।
সিরাজুল আলম খান দেশের যুবসমাজকে স্বাধীনতার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তাঁর সঙ্গে দেখা হলে এবং কথা হলেও স্বাধীনতার জন্য অনুপ্রাণিত হওয়া যেত। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি এই দেশের যুবসমাজকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে রেখেছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই এ অঞ্চলের যুবসমাজ স্বাধীনতার জন্য একত্রিত হওয়ার মন্ত্র পেয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য এখানে যে জাতীয় নিউক্লিয়াস গঠন করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন তার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।