গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হলে নির্বাচনী অনিয়ম কম ঘটে। এই কথাটা সবাই আমরা জানি এবং বলি। বাস্তবতা হলো সেই রকম গণতন্ত্র এবং সেই রকম নির্বাচন আমরা করতে পারি না।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিজে গণতান্ত্রিক নয় বিধায় রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র ঠিকমতো চর্চা করাই হয় না। প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচনের ঘণ্টা বাজার আগেই অনুষঙ্গ হিসেবে হাজির হয় প্রাক-নির্বাচনী কথার যুদ্ধ যা শেষ হয় সহিংসতা ও খুন-জখমের মধ্য দিয়ে।
আমাদের দেশে বরাবরই জাতীয় নির্বাচন যথেষ্ট চাপ এবং উদ্বেগের। সহিংসতা, বল প্রয়োগ করে ভোটকেন্দ্র বা বুথ দখল, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার সবই নির্বাচনী কারসাজির একটা কার্যকর উপায়। নির্বাচনী সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হওয়া মানুষেরা, এমনকি হিংসা-বিধ্বস্ত অঞ্চলের অন্য ভোটাররাও ভোট দিতে আগ্রহী হন কম। তাৎক্ষণিকভাবে তাই কমে যেতে পারে মোট ভোটদানের হার।