জ্যৈষ্ঠের তীব্র তাপদাহে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি কিছু দিবসের জন্য বন্ধ রাখিবার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু একই সময়ে বিশেষত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখায় আমরা সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের অনুরূপ বিস্মিত। মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন মোতাবেক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পৃথক সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হইয়াছেন। মনে রাখিতে হইবে, শিশু আইন অনুসারে, প্রাক-প্রাথমিক হইতে উচ্চ মাধ্যমিক অবধি সকল শিক্ষার্থীই শিশু। বয়সের একটু ব্যবধান থাকিলেও প্রাথমিকের ন্যায় মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদেরও তীব্র গরমে কাবু হইবার আশংকা বেশি। আলোচ্য সিদ্ধান্তটি আরেকটা কারণেও বৈষম্যমূলক; ইহাতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। উল্লেখ্য, ২৯ মে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে খেলিবার সময় ‘হিটস্ট্রোক’-এ পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ইহার পর সমগ্র দেশে এই টুর্নামেন্ট স্থগিত এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ৫ হইতে ৮ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরও ৭২ ঘণ্টার জন্য ঢাকাসহ দেশে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকিবার পূর্বাভাস দিয়াছিল।