প্রকৃতিতে তীব্র তাপদাহ চলছে। ভ্যাবসা গরমে শিশু থেকে বয়স্ক হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। এ পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে হবু মায়েদের শরীরের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ গর্ভাবস্থায় হবু মা যা করেন, যা ভাবেন এবং যা কিছু খাবার খান, তার প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ সন্তানের ওপর। এই সময় মা যা খান তা থেকেই শিশু সমস্ত পুষ্টি পায়। তাই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই একান্ত প্রয়োজনীয়।
গরমে কমবেশি সবারই খাওয়াদাওয়ার প্রতি একটা অনীহা থাকে। তাপপ্রবাহের কারণে কিছুই যেন খেতে ইচ্ছে করে না। এর প্রভাব গর্ভস্থ শিশুর ওপর পড়তে পারে। সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য গরমের সময় খাওয়াদাওয়ার প্রতি অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত।
গরমে হবু মায়েদের খাদ্যতালিকায় যেসব খাবার রাখা উচিত-
শাকসবজি : পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজিতে ফোলেট, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম ভরপুর পরিমাণে থাকে। ফোলেট গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আয়রন শরীরে লাল রক্তকণিকা উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশপাশি গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম গর্ভস্থ শিশুর হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফলমূল: কমলালেবু, বেরি জাতীয় ফল, কলা, আপেল, নাশপাতি জাতীয় ফল ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবারে পরিপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর জুড়ি নেই। এই ভিটামিন আয়রন শোষণেও সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
লিন প্রোটিন: লিন প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালরি খুবই কম থাকে। এ কারণে এই প্রোটিন খুবই স্বাস্থ্যকর। চিকেন, মাছ, টার্কি, টফু লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ। এই সব খাবার শরীরে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি ১২-এর মতো পুষ্টি সরবরাহ করে। গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য আয়রন অপরিহার্য। জিঙ্ক ভ্রূণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোষ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে ভিটামিন বি ১২ ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে।