লোকজ্ঞানীরা এই প্রাবাদিক বাণীর মর্ম জানেন। নাগরিক জীবনের মানুষ আজকাল তাদের প্রতি অতোটা দরদী নন, তাই জানার চেষ্টা করেন না সেই লোকমর্ম। কিন্তু তাই বলে তো ওই বাণীর মর্ম হারিয়ে যায়নি বা যেতে পারে না। লোভী মানুষ আর নির্লোভী মানুষের মধ্যে আকাশ আর পাতাল ব্যবধান, সেটা টের পাওয়া যায় যখন জনপ্রতিনিধিরাও সেই কাজে জড়িয়ে পড়েন।
আমরা অহরহই এরকম সংবাদ সংবাদপত্রের পাতায় এবং তাদের অনলাইন ভার্সনে ও বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে পড়ি জনপ্রতিনিধিদের অপকীর্তির সংবাদ, যা তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে ঠিক মেলানো যায় না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত বলেই যে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে খেতে পারবেন না, সে-রকম কোনো বিধি তো চালু নেই।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন, তাতে কোনো দোষ না থাকলেও, সেই বাণিজ্যের জন্য যদি ক্ষমতার সাহায্যে চালানো হয়, তাহলে তা বৈধতাকে দূরে ঠেলে অবৈধকে কোলে তুলে নেওয়া হয়। জনপ্রতিনিধির প্রধান দায়িত্ব গণমানুষের সম্পদ রক্ষা ও তাদের কল্যাণকে নিশ্চিত করা। উন্নয়নের কাজে মনোযোগী হওয়া। প্রাক্কলিত ব্যয় ও সময়ের মধ্যেই যাতে কাজ শেষ বা সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও জনপ্রতিনিধিদের। সেই জনপ্রতিনিধি যদি জনগণের সম্পদ নিজেরাই কুক্ষিগত করেন, তখন ওই প্রবাদটি মনের পর্দায় ভেসে ওঠে।