ধর্মীয় কিংবা জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার কথা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়েরই। কেননা, যেকোনো দেশে সংখ্যালঘুরা যেসব সমস্যা-সংকটের সম্মুখীন, সেগুলো সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়েরই সৃষ্টি। সেটি হয়ে থাকে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে। সংখ্যাগুরুরা এগিয়ে না এলে সংখ্যালঘুদের পক্ষে এর প্রতিকার অসম্ভব হয়ে পড়ে।
গত ৩১ মে ‘জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগণের অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে মনে হলো, সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার লোক সমাজে কমে যাচ্ছে। আগে নাগরিক সমাজ ও বামপন্থীরা এ ব্যাপারে কিছুটা সোচ্চার ছিল। এখন বামপন্থীরা ক্ষীয়মাণ। ভয়ভীতি দেখিয়ে নাগরিক সমাজের মুখও প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করতে চায়; কিন্তু তারা কেন সাম্প্রদায়িক নাম নিয়েছে? অথচ তাঁরা এই প্রশ্ন করেন না যে কেন এই সংগঠনের উদ্ভব হলো? স্বৈরশাসক এরশাদ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তনের আগে এই নামে কোনো সংগঠন ছিল না। যে মুহূর্তে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হলো, তখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই সংগঠনটি তৈরি হলো।