গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ‘ভিসা নীতি’ ঘোষণা করেছে। ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে উৎসাহ জোগাতে’ এই ঘোষণার পর দেশের রাজনীতিতে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপি ভিসা নীতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সমকাল কথা বলেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের সহ-সম্পাদক এহ্সান মাহমুদ।
সমকাল: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে সম্প্রতি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন ভিসা নীতিকে কীভাবে দেখছেন?
সেলিম মাহমুদ: আমেরিকা যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, সেটাকে আসলে ভিসা নীতি হিসেবে দেখা যাবে না। বলা যায়, এটি বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার ডি ফ্যাক্টো ফরেন পলিসি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি এবং তাদের সমমনাদের যে রাজনীতি; আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির ফলে সেটি অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। চারটি কারণে বিএনপির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে গেছে।
সমকাল: কীভাবে নড়বড়ে হয়ে গেছে?
সেলিম মাহমুদ: প্রথমত, ২০১৮-এর নির্বাচনের পর বিএনপির রাজনীতির প্রধান দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা ছাড়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই ভিসা নীতি চলে আসায় বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটি হারিয়ে গেছে। ভিসা নীতিতে এমন কোনো কথা উল্লেখ নেই, যাতে মনে হতে পারে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করেছে। সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় লাঞ্চের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। সেখানেও তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির দাবি নিয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই।