২০০৫ সালে প্রণীত ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বা এসটিপিতে ঢাকার টেকসই যোগাযোগ পরিকল্পনার জন্য আমাদের আর্থসামাজিক ও পরিকল্পনাগত বাস্তবতার নিরিখে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। বাস্তবায়নের প্রাধিকারে সেখানে পেছনের সারিতেই ছিল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। এ সত্ত্বেও ২০১১ সালে গৃহীত হয় ৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকার এ প্রকল্প।
বলা হয়েছিল, দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো ঢাকাকে বাইপাস করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে, এতে যানবাহনের গতি হবে ঘণ্টায় ৮০ কিমি। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল এবং পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশে সহায়তা করবে। প্রতিদিন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা নগরীতে না ঢুকেই বিভিন্ন অঞ্চলের ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে। উপরন্তু উড়ালসড়ক বাস্তবায়নের পর ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে বিকল্প সড়ক সৃষ্টি হবে; এতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অংশে নিরসন হবে যানজট।