র্যাগিং বিষয়টি নিছক হাসি-ঠাট্টার ব্যাপার নয়। সেনাদল বা ক্রীড়াঙ্গনে নতুন মানুষদের বরণ করে নেওয়ার সময় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তার শক্তিমত্তা পরীক্ষা করার ব্যাপার হয়েও তা নেই। র্যাগিং হয়ে উঠেছে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিকৃত আদেশ মানার জন্য জুনিয়র বা সদ্য যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের বাধ্য করার ঘটনা। এই তথাকথিত আমোদের সীমা বাড়তে বাড়তে কখনো তা নৃশংস হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে সবচেয়ে তাজা খবরটি এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ‘জ্যেষ্ঠ’ শিক্ষার্থীর দখলে। কী তাঁদের মহিমা! মধ্যরাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাংশকে ডেকে নিয়ে যা-ইচ্ছে-তাই করার বাসনা হয়েছিল তাঁদের। খবর পেয়ে প্রক্টোরিয়াল টিমের দুজন সদস্য সেখানে উপস্থিত হলে এই বীরপুঙ্গবেরা সরে পড়েন। তবে একজন ধরা পড়ায় বদমাইশির সঙ্গে জড়িত অন্যদের নামগুলোও সামনে এসেছে। ১১ জন শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।