দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই উন্নয়ন আবার দৃশ্যমান না হলে গুরুত্ব তৈরি করে না—এমন মানসিকতা থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়নই এখানে প্রাধান্য পেয়ে আসছে। ফলে উঠছে বিশাল বিশাল ভবন। অবকাঠামো উন্নয়ন করতে একশ্রেণির নীতিনির্ধারক, ঠিকাদার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ, এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয়ের সুযোগ থাকে।
প্রকল্প পাস করে ভবন তুলে দিতে পারলেই হলো, এরপর সেই প্রকল্প বা ভবন আদৌ কোনো কাজে আসবে কি না, তা দেখার আর প্রয়োজন পড়ে না। যার কারণে স্বাস্থ্য খাতে নতুন নতুন ও বিশাল বিশাল ভবন পড়ে আছে, সেগুলো চালু হওয়ার কোনো নামগন্ধ নেই।
অন্যদিকে দেশে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি অনেক হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে—যেগুলো জরাজীর্ণ, পলেস্তারা খসে পড়ছে, সবকিছু ভাঙাচোরা। যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে। সেখানকার একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন দেখলে মনে হবে এটি কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র নয়, পুরোনো কোনো গুদামঘর। জরাজীর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্রটির নিজেরই চিকিৎসা দরকার।