উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে অনিয়মের আশ্রয়, যোগ্যতার ঘাটতি নিয়ে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি লাভ, পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ, অনৈতিক উপায়ে অর্থ উত্তোলন, দরপত্রে অনিয়মের মতো বিস্তর অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা অভিযোগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২১ মে দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে জাপান ও মালয়েশিয়া থেকে আমন্ত্রণ পান উপাচার্য। মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ ছিল, যাবতীয় ব্যয় তারাই বহন করবে। একই ধরনের বিষয় উল্লেখ করা হয় জাপানের শিপ হেলথ কেয়ারের আমন্ত্রণপত্রেও। কিন্তু দেশে ফিরে অধ্যাপক শারফুদ্দিন ভ্রমণ খরচ বাবদ ৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৭ টাকা বিল জমা দেন অর্থ শাখায়।
বিএসএমএমইউয়ে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত নথি থেকে জানা যায়, শারফুদ্দিন আহমেদ সহযোগী অধ্যাপক পদে ব্যক্তিগত পদোন্নতির লক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিটির কাছে ২০০১ সালের ২ জুন সাক্ষাৎকার দেন। তখন তিনি চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ছিলেন। পদোন্নতির জন্য তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি ছিল। সাক্ষাৎকার শেষে নির্বাচন কমিটির মন্তব্যে বলা হয়, শারফুদ্দিন আহমেদ পদোন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী কোনো শর্ত পূরণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্তীকৃত ও প্রকাশনা থাকায় বিশেষ বিবেচনায় সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ থাকায় বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিল সভায় পাঠাতে কমিটি সুপারিশ করে।