এ নিবন্ধ লেখার সময় প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরে ছিলেন। খবর পড়ে বোঝা যায়, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে জ্বালানি আমদানি নির্বিঘ্ন করাও তার এ সফরের লক্ষ্য। কাতার ও ওমান থেকে বাংলাদেশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে। এ দুই দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। এর আওতায় মূল্যবান এ জ্বালানি আমদানি হচ্ছে। স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি কেনা যায়। মাঝে অনেক দিন এর দাম অত্যধিক বেশি থাকায় বাংলাদেশ তা আমদানি করেনি। সে কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে।
চলতি মাসেই কক্সবাজারের ওপর দিয়ে একটি বড় ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেটা মিয়ানমারের দিকে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু এতে আবার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়। কারণ, যে দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে তরল গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দেশে সরবরাহ করা হতো, তার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এগুলো পুনরায় কাজ শুরু করেছে বা করতে যাচ্ছে। তাতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।