একটি পুরনো কৌতুক হলো, আরব লিগ আসলে কোনো লিগ না আরবদের নার্সারি। আরব লিগকে আরবিতে বলে, জামিআত আদ-দুওয়াল আল-আরাবিয়া। লিগের আরবি শব্দ ‘জামিআ’। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবিও তা-ই। সম্প্রতি আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়াকে আরব লিগে ফিরিয়ে আনা দেখে বোঝা যায়, ‘নার্সারি’ শব্দটি আরব নেতাদের অপমানের পক্ষে যথেষ্ট নয়; সংস্থাটি অযোগ্য এবং নৈতিকভাবে দেউলিয়া।
সিরিয়ায় যুদ্ধপূর্ব জনসংখ্যার অর্ধেক এখন বাস্তুচ্যুত এবং কয়েক হাজার নিহত কিংবা আহত। রাষ্ট্রটি আর কার্যকর নেই। আগেকার ওয়ার-লর্ডদের মতো আসাদ উত্তর-পূর্বে মিলিশিয়া ও এসডিএফ’র সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে টিকে আছেন। তারপরও আরব লিগের মতো ‘ছাতা সংগঠন’ পুনরায় সিরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। সিরিয়ায় ইরানের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব চিন্তার বিষয় বটে। তেহরানের সঙ্গে সম্প্রতি সৌদির সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে সত্য। কিন্তু আরব লিগ সিরিয়াকে আবার স্বীকৃতি দেওয়ায় ইরানের প্রভাব মোটেও হারাবে না, বরং আরও প্রকট হবে। কেননা, এখন যদি উল্টাসিধা কিছু হয়, তাহলে আসাদ ইরান এবং উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলাতে পারবে।