সরকারের সাধ আছে, কিন্তু সামর্থ্য কম। তাই এবারও ধারকর্জে ভর করেই দেওয়া হচ্ছে ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বড় বাজেট। জনতুষ্টির এই বাজেটে জনগণের করের অর্থে ৫ লাখ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার লক্ষ্য আছে সরকারের।
বাকি ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হবে। নির্বাচনের বছর হওয়ায় দাতা সংস্থা, ব্যাংক আর সঞ্চয়পত্র থেকে সুদে নেওয়া এই ধারের টাকার সিংহভাগই সামাজিক নিরাপত্তা ও সার, ডিজেল, বিদ্যুতের ভর্তুকিতে খরচ করতে চায় সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট-সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এনবিআরের সক্ষমতা কতটুকু, তা জানার পরও প্রতিবছরই তাদের ওপর বড় রাজস্ব আয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরে টেনেটুনেও ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয় না। বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আর অর্থের অভাবে উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাঁট করে অর্থবছর শেষ করতে হয়। বাজেটে এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরেও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে। অর্থবছর শেষে এই অঙ্ক ৫৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআই। এই বাস্তবতায় রীতি মেনে বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে এবারও।
আসছে বড় বাজেট অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় চাপ তৈরি করবে কি না জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্থনীতির চাহিদার তুলনায় বাজেট বড় নয়। চ্যালেঞ্জ যেটা, সেটা হলো বৈশ্বিক পরিস্থিতি। এ ছাড়া কোনো চাপ নেই। আমরা পারব। সময়মতো বিদেশ থেকে অর্থও পাব। টাকার ঘাটতি হবে না। তবে সময় আর বাস্তবায়ন অদক্ষতা কিছুটা বাধা হবে।’