বাজারে বিভিন্ন রকমের সাবান পাওয়া যায়। কোন সাবানের কী কাজ এবং কোন ধরনের ত্বকের জন্য কেমন সাবান উপযুক্ত, তা জেনে-বুঝে তবেই সাবান বেছে নিতে হবে ধুলাবালু, দূষণ এবং ঘামের কারণে ত্বক ময়লা হয়। ত্বক পরিষ্কার রাখতে আমরা সাবান ব্যবহার করি। কিন্তু ভুল সাবান ব্যবহার ত্বকের উল্টো ক্ষতি করে।
প্রসাধনী বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের পিএইচ বা ক্ষারের মাত্রা ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৫-এর মধ্যে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ সাবানের পিএইচ ৯ থেকে ১১-এর মধ্যে থাকে, যা ত্বকের ক্ষারের মাত্রা বাড়িয়ে নানা ধরনের ক্ষতি করে। তাই অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক সাবান বাছাই করা জরুরি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাবান পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অ্যাকনে, সাধারণ বার, হারবাল, অ্যারোমাথেরাপিসহ বিভিন্ন রকমের সাবান।কোন সাবানের কী কাজ এবং কোন ধরনের ত্বকের জন্য কেমন সাবান উপযুক্ত, তা জেনে-বুঝে তবেই সাবান বেছে নিতে হবে।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান
এই সাবানে ট্রাইক্লোসেন থাকে, যা একধরনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট এবং এসব সাবানের পিএইচ বা ক্ষারের মাত্রা থাকে ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে। এগুলো তরল ও বার সাবান হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এই সাবান আমাদের ত্বক জীবাণুমুক্ত করে। কিন্তু বেশি মাত্রায় এসব সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কিছু উপকারী জীবাণু থাকে, এসব সাবান সেই উপকারী জীবাণুগুলো মেরে ফেলে। তাই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দীর্ঘদিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা থাইম, ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইলযুক্ত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টি-অ্যাকনে সাবান
যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সাবান ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত যেসব জায়গায় ব্রণ হয়ে থাকে, যেমন মুখ ও পিঠ, সেই সব অংশে এই সাবানগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই অ্যান্টি-অ্যাকনে সাবান ব্যবহার করা উচিত।