পাকা আমের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে অনেকেই ঠান্ডা স্মুদি তৈরি করে খান গরমে। এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা স্মুদি মুহূর্তেই শরীর ও মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এছাড়া এই মধুমাসে অনেকেই পাকা আমের সঙ্গে ভাত ও দুধ মেখেও খেতে পছন্দ করেন।
খুবই সুস্বাদু ও অনেকেরই পছন্দের খাবার এটি। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আম-দুধ একসঙ্গে খাওয়া শরীরের জন্য আদৌ ভালো নাকি খারাপ? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে আয়ুর্বেদ কী বলছে?
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে ফল মেশানো, বিশেষ করে দুধের সঙ্গে বড় ভুল হতে পারে। এ বিষয়ে ভারতের একজন ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ ডা. অর্চনা বাত্রা জানান, এ ধরনের খাবারের খারাপ মিশ্রণ শরীরে সিস্টেমিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।
যদি এর সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তাহলে এর থেকে পুরুষত্বহীনতা, অন্ধত্ব, উন্মাদনা, বন্ধ্যাত্ব, হজমজনিত অসুস্থতা, বদহজম, গাঁজন, পট্রিফ্যাকশন ও গ্যাস তৈরির পাশাপাশি টক্সেমিয়ার মতো কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
আরেকজন প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ নেহা প্রেমজীর মতে, দুধের সঙ্গে ফল মেশানো ও তা গ্রহণ করার ফলে পাচনতন্ত্রে অ্যাসিডিটি ও কনজেশন হতে পারে।
ফলে থাকা ফাইবার ও ভুল হজম সমন্বয়ের কারণে প্রচণ্ড গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কারণ দুধে ভারী শক্তি থাকে, এতে প্রোটিন ও চর্বিও বেশি থাকে। যা ফলের তুলনায় অনেক ধীরে হজম হয়। যা বদহজমের কারণ হয় পরবর্তী সময়ে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
এই বিশেষজ্ঞের মতে, শুধু আম নয় কলা, স্ট্রবেরি, আনারস, লেবু ও কমলার মতো কিছু ফল হজমের সময় তাপ উৎপন্ন করে। অন্যদিকে দুধ পেট ঠান্ডা করে। এই ফলগুলো পেটে ভেঙ্গে গেলে টক হয়ে যায়।