নিয়ে সচেতন আমাদের গলার সামনের দিকে প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থিটির নাম থাইরয়েড। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন। মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শারীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় এই হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গ্রন্থি হতে নিঃসৃত হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্য হলে শরীরে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। ২৫ মে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস। থাইরয়েডজনিত সমস্যা ও এর প্রভাবের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়।
বাংলাদেশের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয়, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছেন। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে থাইরয়েডজনিত সমস্যার হার বেশি দেখা দেয়। এর মধ্যে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজন হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউনের কারণে এটি দেখা দেয়। এ ছাড়া থাইরয়েডের অস্ত্রোপচার, থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ, আয়োডিনের ঘাটতি, রেডিয়েশন ও কিছু ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়ায় হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। নবজাতকদের সাধারণত কনজেনিটাল হাইপোথাইরোডিজম দেখা দেয়। হাইপোথাইরোডিজম আক্রান্ত ব্যক্তির অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ, ওজন বেড়ে যাওয়া, শীত শীত ভাব, অবসাদ, চুল ও ত্বকের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক বা অতিরিক্ত মাসিক, গর্ভধারণে অক্ষমতা, অকাল গর্ভপাত প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে। নবজাতকদের ক্ষেত্রে দৈহিক ও মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশ ব্যাহত হয়, এমনকি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হতে পারে।