ঢাকা ওয়াসার অর্গানোগ্রামে পরিচালক (উন্নয়ন) ও পরিচালক (কারিগর) হিসেবে কোনো পদ ছিল না। অথচ সেই পদ সৃষ্টি করে চুক্তিভিত্তিক নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- পরিচালক (উন্নয়ন) মো. আবুল কাসেম ও পরিচালক (কারিগর) একেএম সহিদ উদ্দিন।
২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ তাদের ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার আলোচিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ বোর্ডের ১০ সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই নিয়োগ দিয়েছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
অবৈধ নিয়োগ দিয়ে তারা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন উল্লেখ করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সুপারিশ করে কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শুধু প্রতিবেদন দাখিল নয়, সংস্থাটির উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তারা সৈয়দ নজরুল ইসলামের দাখিল করা সুপারিশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে দুদকের আইন অনুবিভাগ। যদিও এ বিষয়ে দুদকের লিগ্যাল শাখার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।