রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পৃথিবী কোনদিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনার বিরাম নেই। যাঁরা এককালে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি দুর্বল ছিলেন, তাঁরা এই যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি মৌন সমর্থন জানাচ্ছেন। ভাবছেন না, সে কালের সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আজকের রাশিয়ার মধ্যে নীতিগতভাবে দুস্তর ব্যবধান। অন্যদিকে, যাঁরা মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সহমত হয়ে ইউক্রেনের পক্ষ নিচ্ছেন, তাঁরাও সমাজে পুঁজিবাদী বিকাশের পথটাকেই মসৃণ পথ বলে মনে করছেন। মার্কিনি মোড়লগিরি তাঁদের চোখে পড়ছে না। তাঁরা দেখছেন না, মার্কিনিদের উসকানিতেই রুশ প্রেসিডেন্ট ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের ওপর। পুতিনের পক্ষে এতটা উত্তেজিত না হলেও চলত। এতে লাভ যা হয়েছে, সেটা অস্ত্র বিক্রয়কারীদের, শিল্পপতিদের। আর ক্ষতি হয়েছে সমগ্র বিশ্বের খেটে খাওয়া মানুষের, গরিব দেশগুলোর।
চাই বা না চাই, এই যুদ্ধের গতিবিধির দিকে চোখ রাখতেই হয়। নোয়াম চমস্কি নিজের মতো করেই এই যুদ্ধ নিয়ে ভেবেছেন। বুঝতে চেয়েছেন এই সংঘাতের স্বরূপ। সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন টাইমস রেডিওর মেট চোর্লি। সাক্ষাৎকারে চম্স্কি এই যুদ্ধের ব্যাপারে যে কথাগুলো বলেছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সবকিছু আলোচনার সুযোগ নেই। অল্প কিছু বিষয় নিয়ে আমরা এগোতে পারি।