যাদের প্রায় সব খাবারে এলার্জি, তারা কী করবেন?

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩, ০৮:০৩

প্রশ্ন: আমার আম্মার বয়স ৫৮ বছর। প্রায় সব ধরনের খাবারেই তাঁর অ্যালার্জি। খাবার বাছাই করতে করতে দেখা যাচ্ছে, ২-৩ ধরনের সবজি আর মাছ ছাড়া তেমন কিছুই খেতে পারছেন না। মানে আমাদের বাজারে যেসব শাকসবজি পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগ তিনি খেতে পারেন না। মাছের মধ্যেও ইলিশ ও চিংড়ি খেতে পারেন না, যেটা তার সবচেয়ে প্রিয়। আবার গন্ধ লাগে বলে চাষের মাছও খান না। এ অবস্থায় আমরা রান্নার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ে যাই। অনেক সময় সবার জন্য ইলিশ রান্না হলেও আম্মা খেতে পারছেন না দেখে বাকিদের খারাপ লাগে। তাই আমরাও এসব খাবার খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু মায়ের শরীরও ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে না, যেহেতু তিনি সব খেতে পারছেন না। এ অবস্থায় আম্মার জন্য করণীয় কী?


উত্তর: আপনার মায়ের ‘খাবারে অ্যালার্জি’। খাবারের অ্যালার্জি হলো যখন বিভিন্ন ধরনের খাবারের কারণে শরীরে ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গিয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সাধারণত খাবার খাওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, রক্তে অ্যান্টিবডি, হিস্টামিনসহ কিছু কেমিক্যাল বেড়ে যায়, শুরু হয় ‘ফুড অ্যালার্জি’। তাই চিকিৎসার পাশাপাশি অ্যালার্জির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এমন খাবার গ্রহণ এবং বাড়ায় এমন খাবার পরিহার করা প্রয়োজন। একদিকে যেমন এমন কোনো খাবার নেই, যা আপনার ফুড অ্যালার্জি সারিয়ে দেবে, অন্যদিকে প্রত্যেকের অ্যালার্জিক খাবার ভিন্ন ভিন্ন। এ জন্য কোন কোন খাবারে আপনার সমস্যা হচ্ছে, বের করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।


সাধারণত যে খাবারগুলো অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে—


১. কুয়ারসেটিন গ্রুপের খাবার। যেমন পেঁয়াজ (লাল হলে ভালো), আপেল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আঙুর ইত্যাদি। এসব খাবার অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যাতে ন্যাচারাল অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি প্রদাহ (অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি) কেমিক্যাল থাকায় অ্যালার্জির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।


২. লেবু, কমলালেবুসহ ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার। এসব খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।


৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটসমৃদ্ধ মাছ, তেল, কিছু বাদামজাতীয় খাবার।


৪. প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার। যেমন দই, টক দই, যা শরীরের অন্ত্রকে উন্নত করে অ্যালার্জি প্রতিকার ও প্রতিরোধে সাহায্য করে।


এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (মাছ, ফল, বাদাম ইত্যাদি), হলুদ (কারকুমিনযুক্ত), আনারস (ব্রোমালিন যুক্ত) অ্যালার্জির প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ইনফ্লামেশন কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এরপরও কিছু বিষয় যা আপনার মায়ের অন্যান্য রিপোর্ট ও সমস্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তার জন্য সরাসরি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারলে ভালো। তিনি আপনার মায়ের সবদিক বুঝে সারা দিনের খাবারের একটা তালিকা তৈরি করে দিতে পারবেন।




সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us