বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নানা কারণে বাজারে প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম চড়া। কোনো পণ্যের দাম আগে থেকেই বেশি। আবার কোনোটির দাম সাম্প্রতিক কালে বেড়ে উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল আছে। এখন অনেকটা লাগামছাড়া চিনির দাম। দফায় দফায় বৈঠক-আলোচনা, পরামর্শ, নির্দেশনা—কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। সাধারণ ভোক্তার কাছে এই মিষ্টিপণ্যটি তেতো মনে হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
চিনির মূল্যবৃদ্ধির জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা আমদানিকারকদের দায়ী করছেন। অন্যদিকে আমদানিকারকেরা আন্তর্জাতিক বাজারের ঊর্ধ্বগতি, বন্দরে সময়মতো পণ্য খালাস না হওয়া এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মানের অবমূল্যায়নের কথা বলছেন।
গত সোমবার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হতে পারে ১২০ টাকা দরে। আর প্যাকেটজাত চিনির দাম হতে পারে ১২৫ টাকা। বিটিটিসির সুপারিশ করা দর কার্যকর করতে চিনিকলমালিকদের সমিতিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে।