তিন দশক আগের ভয়ঙ্কর স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা; দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে মহাবিপদ সংকেত।
এ ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানার আগে মোটামুটি এক দিন হাতে থাকতেই জানমালের ক্ষতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাঁচ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত করা হয়েছে দেড় হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র। নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে মাইকিং।
বর্তমান গতিপথ বজায় থাকলে রোববার দুপুর নাগাদ কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে মোখা। সে সময় ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বাতাসের গতি।
এ অবস্থায় কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী আশ্রয়শিবিরে টিন, বাঁশ, কাঠ ও পলিথিন দিয়ে বানানো ঘরে থাকা কয়েক লাখ রোহিঙ্গার ভাগ্যে কী ঘটবে, তা নিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান অবশ্য আশাবাদী, বিগত বছরগুলোর মত এবারও সরকার ‘সফলভাবে’ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।