বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। ২০২১ সালের শেষভাগ থেকেই রিজার্ভ নিম্নমুখী হয়েছে। ডিসেম্বর ২০২১-এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি মার্কিন ডলার। এটি কমতে কমতে ৮ মে ২০২৩ তারিখে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ৯৮৩ কোটি মার্কিন ডলারে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। তবে একদিনের ব্যবধানে বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার পাওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০ মে হয়েছে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের এ নিম্নমুখিতা দেশের অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার অনেক চেষ্টা করেও রিজার্ভকে আগের মতো ওপরের দিকে টানতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকও রিজার্ভের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র অবশ্য বলেছেনÑ যেসব ঋণদাতা সংস্থার কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছে, এর সবই প্রক্রিয়াধীন। এসব সংস্থা থেকে সহায়তা এলে রিজার্ভ আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
রিজার্ভের এই পতন কেন? সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার জন্য কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম আটকে রাখা ও বিনিময় হারের ওপর কড়াকড়ি আরোপের দায় রয়েছে। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় দেশের আমদানি ব্যয় বহন করা এবং বৈদেশিক মুদ্রায় গৃহীত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১১তম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক পলিসি নেটওয়ার্ক সম্মেলনে বক্তারা এসব মতামতকে সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এশীয় অন্যান্য দেশের অর্থনীতি নিয়েও বক্তব্য রাখা হয়েছে। বলা হয়েছেÑ শুধু বাংলাদেশে নয়, এ অঞ্চলের আরও দেশে ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে হস্তক্ষেপ করায় এবং আনুষ্ঠানিক অন্তর্মুখী রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।