দেশজুড়ে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। ভ্যাপসা গরমে ছোট থেকে বড় সবাই অতিষ্ঠ। গরম মোকাবিলায় বড়রা খানিকটা সচেতন হলেও ছোটরা এই সময় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। গরমে অত্যাধিক ঘাম, বমি বা ডায়রিয়ার মতো রোগ হলে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তখন নানা ভাবে শরীর জানান দেয় শরীর পানিশূন্যতায় ভুগছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও বেশি দেখা দেয়। গরমে শিশুদের খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়, তারা নানারকম পেটের সংক্রমণে ভোগে। পেটের সংক্রমণ থেকে বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। এর ফলে শরীরে পানি এবং প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট, যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইডের ঘাটতি হয়।
শিশুদের শরীরে পানির ঘাটতি হলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
১. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে ঠোঁট ও মুখের চারপাশ শুকিয়ে যায়
২. কান্নার সময় চোখ দিয়ে পানি না পড়লে বুঝতে হবে শিশু পানিশূন্যতায় ভুগছে
৩. শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে শিশুর প্রস্রাব হলুদ রঙের হয়। শিশু যদি দু’-তিন ঘণ্টা অন্তর প্রস্রাব না করে, তা হলেও বুঝতে হবে তার শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে
৪. পানিশূন্যতা দেখা দিলে শিশুদের মধ্যে ক্লান্ত ভাব থাকে। খেলাধুলা না করে দিনের বেশির ভাগ সময়েই সে ঘুমিয়ে থাকতে চায়।
৫. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে সে খিটখিট, অকারণে কান্নাকাটি করতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। শিশুর শরীরে যদি পানিশূন্যতার কোনো লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সতর্ক হতে হবে। শিশু যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে, সে দিকে নজর দিন। এছাড়াও আরও যা করবেন-
পানির পাশাপাশি স্কুলে যাওয়ার সময় আলাদাভাবে একটি বোতলে স্যালাইন গুলিয়ে শিশুদের ব্যাগে দিয়ে দিন। মাঝেমাঝেই সে যেন সেই পানি পান করে, সেই বিষয় তাকে বার বার মনে করিয়ে দিন।