সাহসী ও একত্র হওয়ার আহ্বান

আজকের পত্রিকা তাপস মজুমদার প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৩, ১৪:০৯

রবীন্দ্র কবিতার মূল সুর, যাঁরা তাঁর কাব্য পড়েছেন, তাঁরা হয়তো অনেকেই ধরতে পারেন। প্রকৃতি, প্রেম, আন্তর্জাতিকতা আর প্রধানত মানুষ এবং জীবনজিজ্ঞাসা সেখানে ভীষণভাবে প্রশ্রয় পেয়েছে।


রবীন্দ্রনাথের কবিতায় শ্রেষ্ঠত্বের সন্ধান করা হয়তো বোকামি। সঞ্চয়িতা প্রকাশের সময় তিনি পরোক্ষভাবে বলেছেন, তাঁর সব কবিতাকে তিনি কবিতা বলে স্বীকার করেন না। কিন্তু তাঁর অজস্র কবিতা যে কবিতা হয়ে উঠেছে এবং বাংলা সাহিত্যের সভায় যে তা মহামূল্যবান, তিনি নিজে না বললেও বিদ্বজ্জনের কাছে সে কথা আজ অবধি অনিবার্যভাবে স্বীকৃতি লাভ করে আসছে। তাঁরই একটি কবিতা ‘এবার ফিরাও মোরে’। চিত্রা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। আমার দৃষ্টিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। কবিতাটি রাজশাহীতে লেখা। ‘আপন হতে বাহির হয়ে’ বাইরে দাঁড়ানোর তাগিদ।


‘এবার ফিরাও মোরে’ কবিতাটি শুরু হয়েছে এ রকম বক্তব্য নিয়ে—সংসারে অন্য সবাই যখন সারাক্ষণ তাদের নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত, তখন ‘তুই’ পলাতক বালকের মতো, মাঝদুপুরে মাঠের মাঝে, তরুর বিষণ্ন ছায়ায়, ক্লান্ত উত্তপ্ত বাতাসে, যে বাতাস আবার দূরের বনের গন্ধ বয়ে নিয়ে আসছে—সারা দিন বাঁশি বাজিয়ে কাটিয়ে দিলি! কেন, তুই কি কোনো আর্তনাদ শুনতে পাস না! দূরে কোথাও আগুন জ্বলছে, তুই কি তা দেখতে পাস না! অন্ধত্বের মধ্যে মা অথবা মাতৃভূমি আটকে পড়েছে বুঝতে পারিস না! অক্ষমের বুক থেকে রক্ত শুষে নিচ্ছে সক্ষমেরা, তুই কি তা অনুভব করতে পারিস না! হীন স্বার্থের কাছে অসহায়ের বেদনা যে পরিহাসে পরিণত হচ্ছে, দুর্বল দীন মানুষগুলো যে ভয়ে সংকুচিত হয়ে লুকিয়ে পড়ছে, সে ঘটনা কি লক্ষ করতে পারিস না!


অতঃপর আহ্বান—তুই উঠে পড়! শোন কোন মহা আহ্বানধ্বনি তোকে উচ্চকণ্ঠে ডেকে চলেছে জনতাকে জাগানোর জন্য। যার উদ্দেশ্যে বলা সেই জনই প্রকৃতপক্ষে অন্তরের গভীর থেকে এই ডাক শুনতে পাচ্ছে।


এর পরবর্তী অংশে রবীন্দ্রনাথ দরিদ্র ও অসহায় মানুষের একটি চিত্র এঁকেছেন: শত শতাব্দীর অত্যাচার, নিপীড়ন, অনাহার, আর অসহায়ত্ব নিয়ে করুণ-মূর্তি মানুষগুলো কেমন বোবা ও বোকা হয়ে আছে। তারা কোনো প্রতিবাদ করতে জানে না (হয়তো বলার মতো উপযুক্ত জায়গাও তাদের নেই)। সৃষ্টিকর্তা বা মানুষকে দোষও দেয় না। জীবনটাকে কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখে। এই দারিদ্র্য ও অসহায়ত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলতেই থাকে। এমন অবস্থায় কেউ যদি তার মুখের সামান্য অন্নটুকুও কেড়ে নেয়, তবু তারা শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে তাঁর ওপরেই ভার ছেড়ে দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us