লোহা গলানোর চুল্লিতে বিস্ফোরণে চার শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে যে কারখানায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সেই রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে ছাড়পত্র না পেলেও লোহা গলানো ও তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল।
কারখানা কর্তৃপক্ষ গত বছর লোহা গলানো ও তৈরির অনুমতি চেয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কাছে দুই দফা আবেদন করে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুইবার পরিদর্শন করে এবং নির্দেশ দিয়েও শ্রমিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করাতে পারেনি।
অনুমতি ছাড়াই ছয় মাস ধরে উৎপাদনে থাকা কারখানাটির চুল্লিতে বৃহস্পতিবার বিকট বিস্ফোরণে চার শ্রমিককে প্রাণ দিতে হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর কারখানা কর্তৃপক্ষ ‘রহস্যজনক কারণে’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সেখানে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাও দেখতে পাননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ মহাপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র দাস শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি৷ কারখানা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছিল৷ নিরাপত্তা জোরদার না করেই তারা চুল্লিতে লোহা গলানোর কাজ শুরু করেন৷ এ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটেছে৷”