কভিড মহামারী সর্বোচ্চ চূড়ায় থাকাকালীন অনেক ভারতীয় অর্থনীতিবিদ এবং সমসাময়িক ভাষ্যকাররা বিশ্বাস করেছিলেন যে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির গতিও আকাশচুম্বী হয়ে যাবে। কিন্তু মহামারীর সর্বোচ্চ পর্যায় পার হওয়ার দুই বছর পর দেশটির শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও অর্থনীতির প্রত্যাশিত উত্থান হয়নি। এটি আসন্ন বলেও মনে হচ্ছে না।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর আলোকপাত করা যেতে পারে। যদিও অনেক বিশ্লেষক ভারতের সম্ভাব্য বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ থেকে ৮ শতাংশ অর্জনের অনুমান করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলো জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বেসরকারি বিনিয়োগ এখনো দুর্বল। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বেসরকারি খাতের ঋণ গ্রহণের হার কিছুটা কমে গেছে। একদিকে উচ্চমূল্যের পরিষেবা রফতানি বেড়েছে, অন্যদিকে উৎপাদনভিত্তিক রফতানির বিশ্ববাজারের অংশ অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।