ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ০৪ মে ২০২৩, ০৯:১৯

২০১৫ সালে পে-স্কেল দেওয়ার পর আট বছরে নতুন কোনো পে-স্কেল দেওয়া হয়নি। এছাড়া মহার্ঘ ভাতা বা অন্যান্য কোনো সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়নি। এদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে ক্ষেত্রবিশেষে ১৫০ শতাংশ। ৫ শতাংশের মুদ্রাস্ফীতি এখন ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ অবস্থায় নতুন পে-স্কেল, ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতাসহ সাত দফা দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১২ মে রাজধানীর শহীদ মিনারে মহা-সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।


এদিকে, নতুন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে নতুন পে-স্কেল দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সুরে কথা বলছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের নতুন পে-স্কেল দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা ভাতা, টিফিন ভাতা গ্রেড অনুসারে বাড়তে পারে।


সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ৮ম পে-স্কেলে প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পায়। এ পে-স্কেলে বলা ছিল, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেতন-ভাতা সমন্বয় করে বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু গত আট বছরে বাজারে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও বেতন বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের ঘরেই রয়েছে। ২০১৫ সালে ৫ শতাংশের মুদ্রাস্ফীতি এখন ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এরপর ৫ শতাংশ হারেই বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।


কর্মচারীরা বলেন, প্রতি বছর যে হারে মূল্যস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় সেই হারে বেতন বৃদ্ধি হয়নি। তাই দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে বেতন-ভাতাদি এখন সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর দ্রব্যমূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পে-স্কেল জারি হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ১১-২০ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা মাস চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। সংসার, ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা চালাতে কেউ কেউ ঋণের পথ বেছে নিচ্ছেন। যাদের সামান্য সঞ্চয় ছিল, ইতোমধ্যে তাও খরচ করা শুরু করে দিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us