এল নিনোর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আগামী মাসগুলোতে আরও বিবর্তিত হবে, যা উচ্চ বৈশ্বিক তাপমাত্রা এবং সম্ভবত নতুন তাপের রেকর্ড সৃষ্টি করবে। বুধবার সতর্ক করে এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পেটেরি তালাস বলেছেন, বিশ্বকে এল নিনোর প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত করা উচিত । এল নিনোর প্রভাব সম্ভবত বৈশ্বিক উত্তাপের রেকর্ড ভেঙে একটি নতুন উচ্চতার দিকে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বলেছে, তারা অনুমান করছে, জুলাইয়ের শেষ নাগাদ এল নিনোর বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে ৬০ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরের শেষে এটি ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
ডব্লিউএমওর আঞ্চলিক জলবায়ু পূর্বাভাস পরিষেবা বিভাগের প্রধান উইলফ্রান মউফুমা ওকিয়া জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া এবং জলবায়ুর ধরন পরিবর্তন করবে। এল নিনোর প্রভাবে প্রাকৃতিকভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়ে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে বিশ্বের কিছু অংশে খরা এবং অন্য কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালে বিশ্বে এল নিনোর প্রভাবে এমনটা ঘটেছিল। জলবায়ু মডেলগুলো ধারণা দিচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া ধরন টানা তিন বছর থাকার পর চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছর বিশ্ব এল নিনোতে ফিরে আসবে। লা নিনা চলার সময় সাধারণত বৈশ্বিক তাপমাত্রা কিছুটা কমে আর এল নিনোর সময় তাপমাত্রা বাড়ে।