খানাখন্দে ভরা সড়ক, ঢিলেঢালা নিরাপত্তা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৩, ১৬:০৭

খানাখন্দে ভরা সড়ক। সামান্য বৃষ্টিতে সেখানে হাঁটুসমান পানি জমে। নালা-নর্দমাগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা বেশির ভাগ বাতি জ্বলে না। ফটক না থাকায় যে কেউ অবাধে আসা-যাওয়া করতে পারে। একপাশে সীমানাপ্রাচীর নেই। ফলে নিরাপত্তার অভাবে শ্রমিকেরা রাতে কাজ করতে চান না।


জামালপুরের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পনগরী বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ অবস্থায় সেখানে শিল্পকারখানা চালাতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক খান বলেন, বিসিক নগরের অবস্থা ভালো নেই। রাস্তা, নর্দমা কিছুই ভালো নেই। দুই বছর হলো নালা-নর্দমা কাজ চলছে। সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে চলে গেছে। মালিক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নেই। সবকিছু মিলে এখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার মতো কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার বসেও কোনো কাজ হয়নি।


গত রোববার সরেজমিন শিল্পনগর ঘুরে দেখা গেছে, বিসিকের অভ্যন্তরের রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। পিচঢালাই নেই কিছু সড়কে। কোথাও কোথাও পানি জমে আছে। চারপাশে আবর্জনা ছড়িয়ে আছে। এই শিল্পনগরে ঢোকার দুটি (উত্তর ও দক্ষিণ পাশ) পথ আছে, কিন্তু একটিতেও ফটক নেই। ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত থাকে। বিনা বাধায় যে কেউ শিল্পনগরে প্রবেশ করতে পারেন। দক্ষিণ পাশে একটি পুকুর থাকায়, সেখানে সীমানাপ্রাচীরও নেই। 


শ্রমিকেরা বলেন, এই শিল্পনগরে সাড়ে তিন কিলোমিটারের রাস্তার মধ্যে দুই কিলোমিটারের অবস্থাই খারাপ। নতুন করে নালা নির্মাণের কাজ চলছে। পুরোনো নালাগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলোতে হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। ফলে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সমস্যা হয়। মাথায় বা ভ্যানে উঠিয়ে নগরের প্রধান সড়কে গিয়ে গাড়িতে তুলে দিতে হয়। রাতের বেলায় এ এলাকা নিরাপদ নয়। যে কেউ যখন-তখন শিল্পনগরীতে ঢুকে পড়তে পারে, প্রহরী নেই। এ ছাড়া রাতে বখাটেদের আড্ডা বসে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us