আঙুর রোদে শুকিয়ে বানানো হয় কিশমিশ। এই প্রক্রিয়ার কারণে দুটির পুষ্টিগুণ বদলে যায়। এই দু’টি খাবার একই মানুষের শরীরে সমানভাবে কাজ করে না। কারও জন্য আঙুর ভালো, কারও জন্য আবার কিশমিশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আঙুর অথবা কিশমিশ খাওয়া প্রয়োজন।
আঙুর নাকি কিশমিশ-কোনটি কার জন্য উপকারী তা জানানো হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আঙুল শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা হয় বলে এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। এজন্য এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। আবার আঙুর খাওয়ার ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আঙুরের চেয়ে কিশমিশে ক্যালরির পরিমাণ বেশি। আঙুর শুকানোর পর এর মিষ্টতা বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই এতে ক্যালরির পরিমাণও বেশি। তাই যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের আঙুর খাওয়া এড়ানো উচিত। আবার যারা ওজন বাড়াতে চাইছেন, তাদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।
শরীর ভালো রাখতে, বিশেষ করে শরীর থেকে দূষিত বস্তু বের করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অত্যন্ত প্রযোজনীয়। আঙুরের চেয়ে কিশমিশ অনেক বেশি শুকনো বলে, এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ঘনত্বও প্রায় ৩ গুণ বেশি। সেই হিসাবে কিশমিশের গুরুত্ব অনেক বেশি।
প্রত্যেকের শরীরের ধরন আলাদা। সে হিসেবে কোনটা আপনার জন্য ভালো, সেটা বুঝে নিতে হবে। যদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে গুরুত্ব দিতে চান, তা হলে কিশমিশ খেতে পারেন। আর যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, সেক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে ভালো হতে পারে আঙুর।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রয়েছে, তারা অবশ্যই আঙুর বা কিশমিশ খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। খাদ্যতালিকা থেকে আঙুর বা কিশমিশ পুরোপুরি বাদ না দিয়ে পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।