ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ইলিশা-১ নামের আরেকটি নতুন গ্যাসকূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় কূপের মুখে আগুন দেওয়া হয়। এ কূপ থেকে দৈনিক ২০–২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এ নিয়ে ভোলার মোট ৯টি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেল বাপেক্স।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাপেক্সের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, বিশ্ববাজারে জ্বালানি গ্যাসের চড়া দাম ও সংকটের মধ্যে একের পর এক আশার আলো দেখাচ্ছে দ্বীপজেলা ভোলা। জেলায় এখন পর্যন্ত আটটি কূপে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সবশেষ ইলিশা-১ নামের আরেকটি নতুন গ্যাসকূপেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেল। ধারণা করা হচ্ছে দৈনিক এই কূপ থেকে ২০–২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে ওই কূপে ১৮০ থেকে ২০০ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশে জ্বালানির সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ভোলার ইলিশা-১ কূপ খননের উদ্যোগ নেয় বাপেক্স। গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালের হাটসংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় খনন করে ৩টি স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট)–এর মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। আজ সকাল সাতটায় কূপের মুখে আগুন দেওয়া হয়।
বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, তাদের নকশা ও নির্দেশনা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গাজপ্রম কূপটিতে খননকাজ পরিচালনা করছে। গ্যাসসংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আশা করা যায়, আগামী ১৫ মে থেকে গ্যাস উত্তোলনের উপযোগী হবে কূপটি।
ইলিশা-১ কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার এই খবরে ভোলাবাসী উচ্ছ্বসিত। তারা এখন ওই এলাকায় গ্যাসকূপের মুখে আগুন দেখার জন্য ভিড় করছে। ওই গ্যাসকূপকে কেন্দ্র করে ভোলায় অনেক শিল্পকারখানা সৃষ্টি হবে বলে আশা করছে তারা। এতে স্থানীয় জনসাধারণের কর্মসংস্থান বাড়বে।