জানান না দিয়েই আসে এক দৃষ্টিঘাতী অসুখ। আট থেকে আশি, যে কোনো বয়সেই মানুষের চোখে থাবা বসাতে পারে গ্লকোমা। ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে ও চিকিৎসা শুরু না করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও চলে যেতে পারে। এই রোগকে ‘সাইলেন্ট থিফ’ বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।
গ্লকোমা ঠিক কী ও কেন হয়?
চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা থেকে বাড়ে অন্ধত্বের ঝুঁকি।
প্রাথমিকভাবে পরিধির চারপাশ থেকে ক্ষতিটা শুরু হয়, তাই গ্লকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভেতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, ক্ষতি অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে।