আয়কর আইন অনুযায়ী প্রকৃত আয় মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি বা বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হলেই একজন ব্যক্তিকে বছর শেষে কর দিতে হবে। না হলে জেল-জরিমানা। বর্তমান পরিস্থিতিতে একে বাড়তি চাপ মনে করছেন সাধারণ আয়ের মানুষ। অনেকেই বলেছেন, যা আয় করি তা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছি। কর দেব কোথা থেকে? অন্যদিকে অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইন করে সাধারণ মানুষকে কর পরিশোধে বাধ্য করছে। অথচ সরকারের পাওনা হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সম্পদশালীদের কাছে পড়ে আছে। তা আদায়ে অগ্রগতি নেই।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, মূল্যস্ফীতি ওই অর্থবছরে গড়ে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ ছিল। পরের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ হার ৫ দশমিক ৪৪, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৬ শতাংশ হয়। মূল্যস্ফীতির হিসাব ভিন্ন হলেও পরের চার অর্থবছর করমুক্ত আয়সীমা একই রাখা হয়। করোনার মতো ভয়ংকর ব্যাধির কারণে অর্থনীতিতে ধস নামে। সাধারণ মানুয়ের অনেকের আয় কমে যায়। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে অনেকে দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছ থেকে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর ব্যাপক চাপ আসে। করদাতা হারানোর ভয়ে এনবিআর আপত্তি জানায়। শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে করমুক্ত আয় ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়; যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও বহাল রাখা হয়েছে।