কাউকে ভাতে কিংবা হাতে মারতে জুতসই অজুহাত লাগে। অজুহাত পয়দায় ময়দা ছড়ানো ময়দানে সুচ খোঁজার কায়দায় নিখুঁত খুঁত খুঁজে বের করার দরকার হয় না। শুধু তার মান ইজ্জতে বেতমিজ-বজ্জাতের একটা তকমা আঁটতে হয়। একটা ক্রিমিনালের লেবেল সাঁটতে হয়।
তকমাটা ভালোমতো এঁটে গেলে, লেবেলটা ভালোভাবে সেঁটে গেলে, সেই লোক ফায়ার খাওয়া ফুটো টায়ারের মতো চুপসে হায়ার থেকে লোয়ার লেভেলে নেমে আসে। নামী দামি ভূস্বামীও তখন দাগি আসামির মতো কুঁকড়ে যায়।
সোশ্যাল স্টিগমা, মানে সামাজিক কালিমায় ক্লিষ্ট লোকটিকে তখন মা-খালাম্মা, মাসি-পিসি পর্যন্ত মিছেমিছি ছিঃ ছিঃ করে। বন্ধুবান্ধব বলে, ‘তলে তলে তুই এত বজ্জাত, তাতো জানতাম না! যা সর, সাইড হ!’ আপন ভাইটি থেকে গোটা সোসাইটি তখন গাইড না দিয়ে সাইড করে ফেলে। মনের মানুষটিও দেখা না দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ায় সে একা হয়ে যায়।