তাঁর অভিধানে ‘অবসর’ শব্দ নেই

সমকাল অধ্যাপক আব্দুল বায়েস প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০০

এক স্বাপ্নিক এবং বিরল ব্যক্তিত্ব আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের আজ ৮২তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের জন্য। 


দুই.


১৯৪২ সালের ১৮ এপ্রিল হবিগঞ্জের রতনপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম এবং উচ্চশিক্ষার্থে গ্রাম থেকে শহরে আসা। এই দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণের প্রতিটি পয়েন্টে তিনি তাঁর প্রতিভার জোরে চিত্তাকর্ষক ফল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি শুধু মেধাবীই ছিলেন না; মানবতাবোধ এবং দেশের প্রতি গভীর প্রেম সর্বদা বিরাজ করত তাঁর পরানের গহিনে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হলেও তৎকালীন পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উজ্জ্বল ফল দিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন একজন আমলা হিসেবে। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সংস্থায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর– সততা ও নিষ্ঠার অন্যতম উদাহরণ তিনি। ভাগ্য ভালো; কর্মজীবনের প্রায় শুরুতেই তিনি এক স্বপ্নদ্রষ্টার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। সমুদ্রের বিশালতা বুঝতে গেলে যেমন সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে হয়; তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থেকে তিনি বুঝেছেন মহান ওই মানুষটির মনের বিশালতা। জানতে পেরেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের কথা। সম্ভবত বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করা ছিল ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের জীবনের এক স্বর্ণসৌভাগ্য; জীবনপঞ্জিকার এক সোনালি অধ্যায়। ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন আর তাঁকে দেখেছেন বলেই তিনি জাতির পিতার চিন্তা ও চেতনার প্রতি অতটা নৈষ্ঠিক নিবেদিত বলে আমাদের ধারণা।


তিন.


এ দেশের উচ্চশিক্ষার সীমিত সুযোগ ও নিম্নমুখী মান নিয়ে তিনি সব সময় চিন্তাভাবনা করতেন। নগরীর আফতাবনগরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সিরামিক ইটের যে বিশাল বিল্ডিং তথা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস, সেটা বুঝি সেই চিন্তারই প্রতিফলন। দেশ-বিদেশে প্রশংসিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আমাদের ‌মনের মানুষ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এমনকি তাঁর সমালোচকরাও বলবেন, বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শীর্ষ অবস্থানে চলে আসার পেছনে তাঁর দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বগুণ কাজ করেছে। মাত্র ছয়জন শিক্ষক ও ২০ জন ছাত্র নিয়ে ১৯৯৬ সালে যার যাত্রা; ২০২৩ সালে তার ছাত্রসংখ্যা ১০ হাজারের অধিক; শিক্ষকসংখ্যা প্রায় ৫০০। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা এবং নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন ইস্ট ওয়েস্টের সঙ্গে; যেমন করে পিতা-মাতা জড়িয়ে থাকেন সন্তানের জীবনের সঙ্গে।


চার.


এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় একটা গুণ এই যে, প্রতিষ্ঠানটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে চেতনা যথাযথ লালন করে; সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক কথায়, প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রশ্রয় এখানে নেই। এই তো ক’দিন আগে তাঁরই সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার– একটি বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিবিষয়ক; অন্যটি আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী উন্নয়ন নিয়ে। স্মর্তব্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের মেধাভিত্তিক অবস্থান চোখে পড়ার মতো। ‌দরিদ্র পরিবার থেকে কিংবা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার জন্য বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us