বিপণন ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। কিন্তু ভোক্তাকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াও পরিবহন ভাড়া ও রাস্তায় চাঁদাবাজিও দায়ী। এসব বিষয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ অপর্যাপ্ত। তবে গণমাধ্যম অনিয়মের বিপক্ষে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
শনিবার বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
এএইচএম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ভোজ্যতেল, চিনিসহ কয়েকটি পণ্য চার থেকে পাঁচটি বড় করপোরেট কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা যাতে অন্যায্যভাবে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সেদিকে সরকারের নজরদারি রয়েছে। যেসব করপোরেট কোম্পানি অতিমুনাফার জন্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করছে, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের তালিকা সরকারের উচ্চপর্যায়ে দেওয়া হয়েছে। বড় কোম্পানির আধিপত্যের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পণ্য মজুতসহ অন্যায়ভাবে দাম বাড়ানোর কারণে প্রতিযোগিতা কমিশনে ৫৩টি মামলা চলমান।