চীনের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ১৯৭৯ সালের পর প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হলো। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়ে ম্যাকার্থি বলেন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে। তাইওয়ানকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তাও দেওয়া হবে।
তাইওয়ান বিশ্ব রাজনীতির দীর্ঘদিনের আলোচনার বিষয়। সে আলোচনার গুরুত্ব নতুন করে বাড়ার কারণ বিশ্ব রাজনীতির নানা নতুন সমীকরণ। বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামরিক শক্তিতে চীন যত শক্তিশালী হচ্ছে তাইওয়ানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তত সামনে আনা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটের সন্ধিক্ষণে চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব ইস্যুটি আরও উস্কে দিয়েছে।
চীনের দাবি, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অংশ। ‘এক চীন’ নীতির অধীনে একদিন এই অঞ্চল একীভূত হবে। এই নীতির অধীনে কোনো দেশ একসঙ্গে বেইজিং ও তাইপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না।
গত বছরও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফর করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মার্কিন সামরিক বাহিনী তাইওয়ান দ্বীপে সেনা মোতায়েন করেছে এবং তাদের কাছে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। আমেরিকা কেন চীনের আপত্তি সত্ত্বেও তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে?
তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষাকারী দেশের সংখ্যা কমতে কমতে ১৩টিতে এসে পৌঁছেছিল। এদের মধ্যে প্রধান দেশ হন্ডুরাস অতি সম্প্রতি তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। তার মানে এখন ক্ষুদ্র ১২টি দেশ ও অঞ্চল তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজার রেখেছে।