রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগ। এটি স্বাস্থ্যকর এবং অস্বাস্থ্যকর দুইভাবেই প্রকাশ করা যায়। বড়দের মতো ছোটোরাও বিভিন্ন ভাবে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। শিশুদের মধ্যে রাগের সমস্যা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে। কারও কারও এই সমস্যা বংশগত, কারও পরিবেশগত কেউ আবার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেও রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
আপনার সন্তান রাগী হলে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন-
মানুষকে আঘাত করে: একটি শিশু যখন ছয় বছর বয়সে পৌঁছায়, তারা সাধারণত আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তৈরি করে। আপনার সন্তানের বয়স যদি ছয় বছরের বেশি হয় এবং তারপরও মানুষজনকে আঘাত করে তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
রাগ নিয়ন্ত্রণ: রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক শিশু ক্ষেপে যায়। আপনার সন্তানের বয়স যদি পাঁচ বছরের বেশি হয় এবং এখনও ঘন ঘন রেগে যায় তাহলে বুঝতে হবে সে তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
স্কুলে আক্রমণাত্মক আচরণ: আপনার সন্তান যদি স্কুলে আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শন করে, যেমন-তার সমবয়সীদের ধমক দেয়, অকারণে আঘাত করে তাহলে বুঝবেন তার রাগ বেশি। এই আচরণগুলিকে প্রাথমিকভাবে মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে সে যে শুধু অন্যদেরই ক্ষতি করে তাই নয়, শিশুর সামাজিক এবং মানসিক বিকাশের ওপরও নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে।
মারামারি করে: যে শিশুরা তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা অন্যদের উপর আঘাত করে এবং আক্রমণাত্মক হতে পারে। এই শিশুরা প্রায়ই তাদের সমবয়সীদের এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপভাবে তর্ক করতে পারে। তাদের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানো এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখানো জরুরি। তা না হলে পরবর্তী জীবনে ঝামেলা তৈরি হবে।
নতুন পরিবর্তন গ্রহণ করতে না পারা: অনেক শিশুই নতুন বাড়িতে যাওয়া, স্কুল পরিবর্তন করা, পারিবারিক সমস্যা মেনে নিতে পারে না। এসব পরিবর্তন তার মধ্যে উদ্বেগ, ভয় তৈরি করে। তার থেকেও সে রাগের প্রকাশ ঘটনা। এমন আচরণ করলে বুঝতে হবে সে তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
শিশুদের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দিলে বাবা-মায়েদের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের এসব আবেগ মোকাবেলা করতে সহায়তা করুন। তাদের বুঝিয়ে বলুন কোন আচরণ ঠিক আর কোনটা ঠিক না। তাদের আচরণ ঠিক না হলে শিশু মনোরাগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।