বাবাকে ভয় পেত মেয়ে। বাবা বাড়ি ফিরলে সারা ক্ষণই ভয়ে গুটিয়ে থাকত। তাই মেয়ের ভয় কাটাতে হাতুড়ে ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছিলেন, মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুললেই কেটে যাবে সব ভয়। গত এক বছর ধরে সেই পরামর্শ মেনে চলছিলেন ৪৯ বছর বয়সি হানান শামরক। সম্প্রতি সহ্য করতে না পেরে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে ১৪ বছরের নির্যাতিতা কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায়।
নির্যাতিতা জানিয়েছে, এক দিন হঠাৎই বাবা এসে তার কাছে জানতে চায়, সে কুমারীত্ব হারিয়েছে কি না। কিশোরী উত্তর না দেওয়ায়, তিনি নিজেই মেয়ের যোনিতে আঙুল ঢুকিয়ে সতীত্ব যাচাই করেন। সেই পরীক্ষায় মেয়ে পাশ করলে তার পর থেকেই জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন তিনি।
প্রত্যেক বারই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হত না। মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন বাবা। সেই কারণে মুখ বুজে সব সহ্য করত মেয়ে। বাইরে কাউকে বলে দিলেও প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। ভয়ে মাকে বলেনি। কিন্তু স্কুলের বন্ধুদের কাছে খুলে বলে সব। বন্ধুরাই গর্ভপাতের ওষুধ এনে দেয়। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিশোরী। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই কিশোরীর মা ভেঙে পড়েছেন। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়ে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য।