চাঁদের ওপর মানুষের উপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী হলে এর জন্য প্রয়োজন পড়বে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার। আর সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছে অ্যারোস্পেস কোম্পানি ও সমরাস্ত্র নির্মাতা লকহিড মার্টিন।
মার্কিন এই কোম্পানিটি ‘ক্রিসেন্ট স্পেস’ নামে একটি চন্দ্রবিষয়ক অবকাঠামো তৈরি করেছে, যাদের প্রথম প্রকল্প চাঁদ থেকে পৃথিবীতে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়া।
‘পারসেক’ নামের এই প্রকল্পের মাধ্যমে নভোচারীরা বিভিন্ন সরঞ্জামে সংযোগ বা নিজ বাড়িতে সঙ্গে কথা বলার সময় নিরবিচ্ছিন্ন স্যাটেলাইট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। আর তাদেরকে ন্যাভিগেশন সংশ্লিষ্ট সহায়তাও দেবে নতুন এই ব্যবস্থা।
এই প্রযুক্তি নভোচারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ও মহাকাশযানের গতিবিধি বদলাতে সহায়তা করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
লকহিড মার্টিনের ব্যাখ্যা অনুসারে, এই প্রকল্প চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা নভোচারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আর পারসেকের বিভিন্ন ‘নোড’ চাঁদে জিপিএসের সমতুল্য একটি ব্যবস্থা তৈরি করবে, যা নভোচারীদের নিজস্ব ঘাঁটির সঠিক অবস্থান সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেবে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, এই ব্যবস্থায় কোনো রোভার নভোযান হয়তো বিপজ্জনক কোনো গর্তে না পড়েই নিজের গন্তব্যে ফিরে আসার সঠিক পথ সম্পর্কে জানতে পারবে।
ক্রিসেন্ট প্রকল্পের প্রথম পারসেক নোডগুলো কার্যকর হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ। আর এতে স্যাটেলাইট সুবিধা দেবে লকহিড মার্টিন। এ ছাড়া, কোম্পানি নিশ্চিতভাবেই কয়েকজন বড় গ্রাহক পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।