জন্মদিনে সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা...এই দিনটি কীভাবে কাটাচ্ছেন?
সিয়াম আহমেদ: ধন্যবাদ। এবারের জন্মদিন আমার কাছে ব্যতিক্রম। কারণ এবারই প্রথম জন্মদিন কাটছে পুত্রের সঙ্গে। সন্তানের সঙ্গে প্রথম জন্মদিন– সব মিলিয়ে অন্যরকম আনন্দের। পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গত রোববার কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছি। এতদিন কলকাতা ছিলাম নতুন এক ছবির কাজে। ছবির নাম প্রাথমিকভাবে ‘প্রতিপক্ষ’। যদিও নাম পরিবর্তন হবে। আজ সবার পাশে থেকে দিনটিকে আমি উপভোগ করছি। যাদের অফুরন্ত ভালোবাসায় আমি আজকের সিয়াম; তাদের ভালোলাগা ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটি নিজের মতো করেই কাটাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
নতুন পরিবেশ ও ছবির নতুন সহশিল্পীদের সঙ্গে মেলামেশার অভিজ্ঞতা কেমন?
সিয়াম আহমেদ: ভালো। বাংলাদেশের সিনেমা ও শিল্পীদের নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের দেশের মানুষের আন্তরিকতার প্রতি তাঁদের মুগ্ধতা কাজ করে। আমার সঙ্গেও তাদের প্রত্যেকের আচার-আচরণ একেবারেই বন্ধুর মতো। দারুণভাবে আমাকে সহযোগিতা করছেন সহশিল্পীরা।
আর বরেণ্য অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সিয়াম আহমেদ: তিনি খুব বড় মাপের অভিনেতা। ভালো শিল্পীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অন্য শিল্পীকে তিনি কাছে টেনে নেন। কাজের সুযোগ করে দেন। সিনেমায় আমাদের চরিত্র বিপরীতমুখী। আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্বই বেশি। দুটি জেনারেশনের গল্প বলা হয়েছে সিনেমায়। যতবারই বুম্বাদার সঙ্গে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেছি, তাঁর সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন চরিত্রটি নিয়ে আমি কী ভাবছি। আমি আমার ভাবনার জায়গা শেয়ার করেছি। চরিত্র নিয়ে যত সাজেশন আছে তা তিনি দিয়েছেন। ভালো হলে বাহ্বা দিচ্ছেন। একটু কম ভালো হলে বলতেন আরেকবার করে দ্যাখ।
অনেক নায়কই এখন ওটিটি নিয়মিত কাজ করছেন। একটা সময় আপনিও ছিলেন এখন নেই কেন?
সিয়াম আহমেদ: সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওয়েবের কাজে মনোযোগ দিতে পারিনি। যখন যেখানে কাজ করব সেখানে শতভাগ সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করি। একটু খেয়াল করে দেখবেন আমার সিনেমাগুলোতে আমি তিন বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করেছি। যদিও করোনার কারণে একটু দেরি হয়েছিল। কমিটমেন্ট আমার কাছে বড় বিষয়। তবে এ সময়ের মধ্যে আমি যে ওয়েব মাধ্যমে কাজের কথা ভাবিনি, তা কিন্তু নয়। গল্প পাইনি তাও বলব না। অনেকগুলো প্রজেক্ট নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি করতে না পারায় অন্য কেউ করেছে। তাতে ভালো সাড়াও মিলেছে। যখন ওয়েবের কথা চিন্তা করছিলাম তখন আমার হাতে অনেক কাজ ছিল।