আমরা কোয়ালিটি নিয়ে কখনোই ভেবেছি, এমনটা কেউ কখনো বলেনি। রাজনীতির কোয়ালিটি নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজে। এমন কি মধ্যম শ্রেণির রাজনীতিকদের মধ্যেও নেই সেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বক্তব্য, যা গণতান্ত্রিক সমাজের সামনে নতুন কিছু উপহার দিতে পারে। আমরা নামে গণতান্ত্রিক, চেতনায় রাজনৈতিক স্বৈরচারিতায় বিশ্বাসী। বোধ করি, সেই কারণেই রাজনীতির ভাষার কোয়ালিটি নিয়েও নেই কোনো মাথাব্যথা। বরং অস্বাস্থকর শব্দমালায় সাজানো রাজনৈতিক সভাগুলোতে কর্মীনেতাদের যে সোল্লাস সমর্থন দেখতে পাই আমরা, তাতে মনে হয়, এই ধারাই রাজনীতির জন্য যোগ্য ও স্বাস্থ্যকর পথ।
উস্কানিটা আসে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে থেকে। টিভির টকশোতে যারা সরকার দলীয় কথক হিসেবে যোগ দেন, তারা নানা কথার মধ্যে এটাই বলেন যে বিরোধীরা তো সরকারের পতনের মতো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। তাই সরকারও নিজেদের নিয়ে যেমন ভাবিত নন, তেমনি তাদের উন্নয়নের যে নৌপথ রচিত হচ্ছে তা প্রমাণ করে সরকার ঠিক পথেই আছে। অর্থাৎ তারা বিরোধীদের এই বলে উস্কায় যে আন্দেলনকে আরো নারকীয় করে তুললেই কেবল সরকার তা আমলে নেবে। মানে ভয় পাবে। বিরোধী দল মানে এখন, এখানে বিএনপিকেই বোঝানো হয়। বিএনপি যদি প্রতিবাদী আন্দোলনকে সহিংস ও ভাংচুরের মাধ্যমে, গান পাউডার দিয়ে যাত্রী সমেৎ গাড়ি পোড়াতে পারে ( তাদের মতো), তাহলেই কেবল সরকার বুঝবে মাঠের রাজনীতিতে প্রকৃত তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আর ওই তাণ্ডবে সরকার নামক বটবৃক্ষটির শেকড়বাকড়সহ উপড়ে পড়তে বাধ্য হবে। ঠিক, একই সঙ্গে তারা এই দাবি করে যে বিএনপি সরকারে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।